বাবা-মা সন্তানের জন্য সেরা আশীর্বাদ। কেননা সন্তানকে জন্মের পর থেকেই বাবা-মা তাদের বেড়ে ওঠতে সার্বিক দেখা-শুনা করে থাকেন। সন্তানদের উন্নত জীবনের জন্য এবং তাদেরকে সুস্থ, সুন্দর ও ভালো রাখতেই চলে বাবা-মার যত সংগ্রাম।
দুর্ভাগ্যবশত সন্তানরা বাবা-মার সহযোগিতার ক্ষেত্রে পুরোপুরি বিপরীতে অবস্থান করে। যে বাবা-মা সন্তানের সুখের জন্য তাদের সুখকে বিসর্জন দেয়, সে সন্তানই বড় হয়ে সেভাবে বাবা-মার খোঁজ খবর রাখে না। তাদের মুখে হাসি ফোটাতে কোনো তত্ত্বাবধানই করে না।
এমনকি অনেক বাবা-মা সন্তানের সঙ্গে থাকতেও পারে না। তাদের স্থান হয় অসহায় পল্লী বৃদ্ধাশ্রমে। অথচ বাবা-মা তাদের যৌবনের সব সুখ-স্বপ্ন বিসর্জন দিয়েছেন সন্তানের অকৃত্রিম স্নেহ, মমতা ও প্রতিপালনে।
আর এভাবেই অনাদর-অবহেলায় অনেক বাবা-মা দুনিয়া থেকে বিদায় নেন পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে। তাই সে সব বাবা-মা’র জন্য সন্তানদের শেষ করণীয় হলো দোয়া করা। সন্তানের সে দোয়া হবে বাবা-মার জন্য আল্লাহর কাছে অনেক শক্তিশালী আবেদন। যা মহান প্রভুই দুনিয়ার সন্তানদেরকে শিখিয়েছেন-
رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا
উচ্চারণ : ‘রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানি সাগিরা।‘ (সুরা বনি-ইসরাইল : আয়াত ২৪)
অর্থ : ‘হে আমাদের পালনকর্তা! তাদের উভয়ের প্রতি রহম করুন; যেমনিভাবে তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন।’
মনে রাখতে হবে
বাবা-মা কখনো সন্তানের কাছে টাকা-পয়সা, বিলাসিতা কিংবা অসাধ্য-দুষ্প্রাপ্য কোনো কিছুই চায় না। প্রকৃত পক্ষে তারা চায় সন্তানের সঙ্গ, ভালোবাসা ও তত্ত্বাবধান। এ কারণেই হাদিসে পাকে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেছেন- বাবা-মা’র সন্তুষ্টিতেই রয়েছে আল্লাহর সন্তুষ্টি। আর তাদের অসন্তুষ্টিতে রয়েছে আল্লাহর অসন্তুষ্টি।
সুতরাং দুনিয়ার সব মানুষের প্রতি আহ্বান, যাদের বাবা-মা জীবিত আছে, তাদের পতি যথাযথ দায়িত্ব পালন করা। আর যাদের বাবা মা ইন্তেকাল করেছেন তাদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাদের বাবা-মাকে সঙ্গ দেয়ার পাশাপাশি তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার তাওফিক দান করুন। আর যারা ইন্তেকাল করেছেন তাদের জন্য দোয়া করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-